মাইগ্রেন এক বিশেষ ধরনের মাথাব্যথা। মাথার যেকোন এক পাশ থেকে শুরু হয়ে তা বিস্তৃত আকার ধারণ করে। এতে মস্তিষ্কে স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হয়। মস্তিষ্কের বহিরাবরণে যে ধমনিগুলো আছে সেগুলো মাথাব্যথার প্রারম্ভে স্ফীত হয়ে ফুলে যায়। এছাড়া মাথাব্যথার সাথে সাথে বমি ও বমি বমি ভাব এবং রোগীর দৃষ্টিবিভ্রম হতে পারে। সব মাথাব্যথাই মাইগ্রেন নয়। দৃষ্টিস্বল্পতা, মস্তিষ্কের টিউমার, মাথায় রক্তক্ষরণ প্রভৃতি কারণেও মাথাব্যথা হতে পারে।
চিকিৎসকের এর অধীনে এবং নিয়মিত চেকআপের মাধ্যমে এ রোগের চিকিৎসা করা উচিত। মাইগ্রেন-এর ব্যথা চোখের কোন সমস্যার জন্য হয় না।
মাইগ্রেনের কারনঃ
১. চকলেট, পনির, কফি ইত্যাদি বেশি খাওয়া।
২. জন্মবিরতিকরণ ওষুধ গ্রহণ করা।
৩. দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ।
৪. অতিরিক্ত ভ্রমণ করা।
৫. অতিরিক্ত ব্যায়াম করা।
৬. অনিদ্রা।
৭. অনেকক্ষন ধরে টিভি দেখা।
৮. দীর্ঘক্ষন যাবত কম্পিউটারে কাজ করা।
৯. মোবাইলে বেশি কথা বলা।
১০. দীর্ঘক্ষণ বা অনেকক্ষণ ধরে অত্যধিক উজ্জ্বল আলোর নিচে অবস্থান করা।
মাইগ্রেনের সমস্যা প্রতিরোধের কিছু উপায়ঃ
১. মাইগ্রেনের চিকিৎসায় তাৎক্ষণিক এবং প্রতিরোধক মূলক ঔষধের পাশাপাশি কিছু নিয়মকানুন ও যদি মেনে চলা যায় তাহলে সমস্যা অনেকাংশেই কমে যায়।
২. প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে হবে এবং সেটা হতে হবে পরিমিত।
৩. অতিরিক্ত মাএার আলো বা কম আলোতে কাজ করা থেকে বিরত থাকা।
৪. কড়া রোদ বা তীব্র ঠান্ডা পরিহার করতে হবে।
৫. উচ্চশব্দ ও কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে থেকে বিরত থাকা।
৬. বেশি সময় ধরে কম্পিউটারের মনিটর ও টিভির সামনে না থাকা।
৭. মাইগ্রেন শুরু হয়ে গেলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা।