নীল জলের সন্ধানে সিলেটের নীল নদ খ্যাত ‘লালাখালে’

নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতে পারবেন না যে পানি এতো স্বচ্ছ হতে পারে। আর পানির কালার দেখে মনে হচ্ছিলো যেন কেউ পানিতে নিল রঙ মিশিয়ে দিয়েছে।

সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হল যে, খালের এক এক অংশে এক এক রঙের পানি। প্রকৃতির বিচিত্র রূপ! স্বচ্ছ, সবুজ এবং গাঢ় নীল পানি। তলদেশ পর্যন্ত একদম স্পষ্ট দেখা যায়।
এখানেই আপনি স্বাদ পেয়ে যাবেন প্রাকৃতিক সুইমিংপুলের।

লালাখাল আপনাকে অবশ্যই অন্য এক রকম প্রাকৃতিক অনুভূতি এনে দিবে। হারিয়ে যাবেন খানিকের জন্য প্রশান্তির সাগরে।

বিবরণ:
ভারতের চেরাপুঞ্জির ঠিক নিচেই লালাখালের অবস্থান। চেরাপুঞ্জি পাহাড় থেকে উৎপন্ন এই নদী বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। লালাখালের পানি নীল। মুলতঃ জৈন্তিয়া পাহাড় থেকে আসা প্রবাহমান পানির সাথে মিশে থাকা খনিজ এবং কাদার পরিবর্তে নদীর বালুময় তলদেশের কারনেই এই নদীর পানির রঙ এরকম দেখায়। লালাখাল নদীতে অসংখ্য বাঁকের দেখা মেলে।

ইতিহাস:
এ নদী দিয়েই পর্যটক ইবনে বতুতা বাংলাদেশেএসেছিলেন। জায়গাটার নামের সঙ্গে ‘খাল’ শব্দ যুক্ত হলেও এটি মূলত একটা নদীরই অংশ। নদীর নাম সারি। কেননা, চেরাপুঞ্জি পাহাড় থেকে বেয়ে আসা পানি গড়িয়ে চলেছে লালাখাল দিয়ে।লালাখালকে কেন লালাখাল বলা হয়, তা জানা যায়নি।

যেভাবে যাবেন:
সিলেটের সোবহানি ঘাট থেকে যাফ্লং গামী লোকাল বাসে উঠবেন বলবেন সারিঘাটে নামিয়ে দিতে ভাড়া নিবে জনপ্রতি ৪৫/- টাকা । সারিঘাট ব্রিজ পার হলে হাতের ডানে দেখবেন অটো দারিয়ে । জনপ্রতি ২০/- টাকা অটো ভাড়া নিবে লালাখাল পয়েন্ট যেতে। লালাখালে গিয়ে আপনাকে নৌকা রিজার্ভ করতে হবে । ৪০০-৫০০/- টাকা দিয়ে নৌকা রিজার্ভ করে লালাখাল ঘুরে দেখতে পারবেন । অবশ্যই দড়দাম করে নিবেন।

বিদ্র: শীতকাল হলো লালাখাল ভ্রমণের উপযুক্ত সময় ।

আসুন ভ্রমণে গিয়ে আমরা যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকি। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়ি।

Leave a Comment

0 Shares
Tweet
Share
Share
Pin